রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
মঙ্গলবার সকালে আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রাঙামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান এবং গুলি বিনিময়। একে ৪৭ ও রাইফেলসহ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।’
সকাল পৌনে ১০টায় দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে অভিযান চলমান আছে বলেও জানান হয়। রাঙামাটির বাঘাইহাট এলাকাটি বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ইউনিয়নের অন্তর্গত।
এদিকে আইএসপিআরের এ দাবিকে ‘সম্পূর্ণ ভূয়া, সাজানো ও ইউপিডিএফকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর একটি জঘন্য ষড়যন্ত্র’ বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
মঙ্গলবার দুপুরে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউপিডিএফের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ও চলমান ধর্ষণ বিরোধী ছাত্র-গণ আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরানোর মরিয়া প্রচেষ্টা হিসেবে এভাবে একের পর এক গোলাগুলি ও অস্ত্র উদ্ধার নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।’
তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘সাজেকে ইউপিডিএফের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুলিবিনিময় কিংবা অস্ত্র উদ্ধারের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
অংগ্য মারমা বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) রাত ২টার দিকে বাঘাইহাট জোন থেকে একদল সেনা সদস্য ৩৬ নম্বর সাজেক ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন পর্যটন রোড থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে নরেন পাড়ায় গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে আজ (মঙ্গলবার) ভোর সোয়া ৫টায় তারা গ্রামের পার্শবর্তী জঙ্গলে গিয়ে ২০-৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এই ঘটনার পর পরই আইএসপিআর থেকে ইউপিডিএফের সঙ্গে গোলাগুলি ও অস্ত্র উদ্ধারের খবর প্রচার করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে অংগ্য মারমা অবিলম্বে ইউপিডিএফকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারের তীব্র নিন্দা জানান এবং ভূয়া গোলাগুলি ও অস্ত্র উদ্ধার নাটক বন্ধ করার দাবি জানান।