চলতি বছর কক্সবাজারের বিভিন্নস্থানে পুকুর ও জলাশয়ে ডুবে ৫০ জনের অধিক মানুষ মারা গেছে। আর সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গোসলে নেমে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুতুবদিয়া, উখিয়া ও রামু উপজেলায় মৃত্যুর হার বেশি।
বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিচার্স বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এই তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে সচেতনামূলক র্যালি বের করে সিআইপিআরবি’র সি সেইফ প্রজেক্ট।
২০১৪ সাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ৭৯৫ জনকে পানি থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে সি সেইফ লাইফগার্ড। এরমধ্যেই সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে যায়। তারমধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও অরিত্র হাসানের মরদেহ পাওয়া যায়নি।
সি সেইফ প্রজেক্টের মাঠ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ
বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। তারমধ্যে বাংলাদেশে ১৯ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। গড় হিসাব করলে প্রতিদিন ৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জনই শিশু। এই নিরব মহামারীকে প্রতিরোধ করার জন্য জাতিসংঘ ২০২১ সালে ২৫ জুলাই বিশ্ব দিবস উপলক্ষে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা চাই দিবসকে উপলক্ষ্য করে সকলেই সচেতন ও সতর্ক হোক। নিজেরা নিরাপদ থাকুক।’