৩৭
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১৫জন দগ্ধ হয়েছেন। ১২জনের অবস্থা আশংকাজনক। আজ ৫ডিসেম্বর, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকী তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় জানান, দোকান মালিক লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেনি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। কোনো অজ্ঞাত উৎস থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গে দোকানে আগুন ধরে যায়। এবং মূহুর্তেরই গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়ে আশপাশের এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আহত কিশোর।
আহতরা হলেন, হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)। এদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০% দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক বলে পরিবার জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০% এবং অন্যদের ২০–৩০% দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিউজ টুডে / এম.আর রুবেল
